শিরোনাম
Passenger Voice | ১০:৪৪ এএম, ২০২৩-১২-০৫
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত থার্ড টার্মিনাল বাংলাদেশের আকাশপথে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে যাচ্ছে। নতুন করে ১০টি দেশের সঙ্গে এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
গত রবিবার থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে শুরু হয়েছে আইকাও এয়ার সার্ভিস নেভিগেশন ইভেন্ট-আইকান ২০২৩। ৫ দিনের এই ইভেন্টে বাংলাদেশসহ ৭৬টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এই ইভেন্টেই হতে যাচ্ছে ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি। ইতোমধ্যে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। ইভেন্টে অংশ নেবে ৭৬টি দেশ। তথ্যমতে, অংশগ্রহণকারী অনেক দেশের সঙ্গেই বিমান চলাচল চুক্তিসংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে বেবিচক।
বেবিচক সূত্র বলছে, থার্ড টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের আগেই বেশ কয়েকটি দেশ বিমান পরিচালনার আবেদন জানিয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (গাকা) ও বেবিচকের মধ্যে বৈঠক হবে। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একই সময়ে একই স্থানে অনেক দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তিসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরের সুযোগ হবে। বাহরাইন ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরসংক্রান্ত আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। কূটনৈতিক মাধ্যমে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে সিসিলিসসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই ও রুয়ান্ডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও কোনো ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারিত হয়নি। এসব দেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ তৈরি করতে ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণের জন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রয়োজন। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, কুয়েত, মিশরের সঙ্গে বিদ্যমান ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করা এবং চীনের সঙ্গে টপ-এর ভিত্তিতে বর্ধিত ফ্রিকোয়েন্সিগুলো নিয়মিতকরণ করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় এসব দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো নিষ্পন্ন করা সহজতর হবে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত অনেক দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি পর্যালোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া আগামী বছর শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করলে অধিকসংখ্যক ফ্লাইট চলাচলের সুযোগ সৃষ্টির জন্যও বিদ্যমান ফ্রিকোয়েন্সিগুলোর হালনাগাদ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, যে কোনো দেশের জন্য আইকাও এয়ার সার্ভিস নেভিগেশন ইভেন্ট-আইকান ২০২৩ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছি। আমাদের থার্ড টার্মিনাল হয়ে গেছে। এখন আমরা নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব। এই ইভেন্টে অনেক দেশ অংশ নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা, ফ্লাইট বৃদ্ধি ও নতুন দেশের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত